শিলং উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পাহাড় জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। এটি মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী। শিলং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে এবং ভুটান-ভারত সীমান্তের প্রায় ১০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। এটি খাসি পাহাড়ে প্রায় ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এখানে রয়েছে পাইন অরণ্য, জলপ্রপাত এবং পার্বত্য জলধারার সমারোহ। একসময় এটি "প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড" নামে পরিচিত ছিল। ১৮৯৭ সালে এক ভূমিকম্পে শহরটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং এরপর এটিকে পুনরায় গড়ে তোলা হয়। ভারতের স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ পরিবারদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় পাহাড়ি রিজর্ট ছিল। এখানে এখনও প্রচুর ব্রিটিশ ধাঁচে নির্মিত কান্ট্রিহাউজ দেখতে পাওয়া যায়। শিলং-এ আশেপাশের এলাকায় উৎপাদিত কমলা, তুলা, আলু, ইত্যাদি কেনাবেচা হয়। এখানে মাইকা, জিপসাম এবং কয়লার মজুদ থাকার সম্ভাবনা আছে, তবে এগুলি এখনও তেমন করে উত্তোলিত হয়নি। এখানে তেমন কোন বড় শিল্পকারখানা নেই।
দিন-০০ (২০ সেপ্টেম্বর,২০১৮)
ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে আমাদের যাত্রা রাজারবাগ পুলিশ লাইন গ্রীন লাইন বাস কাউন্টার থেকে রাত ৯.৩0 মিনিটে শুরু।
দিন-১ (২১ সেপ্টেম্বর,২০১৮)
সকালের নাস্তা করে আমারা তামাবিলের উদ্দেশ্যে রওনা। তামাবিল পৌছে বর্ডার ক্রস করে শিলংয়ের উদ্দেশ্যে জীপে করে রওনা দিব,পথিমধ্যে আমরা দেখে নিব সোনাং পেডেং ও উন্মট রিভার। প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড খ্যাত মেঘালয়ের রাজধানী শিলং শহরে পৌছাবো। শহরটি পূর্ব খাশি পাহাড়ী বিভাগের প্রধান কার্যালয় এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৯০৮ ফিট (১,৪৯৬ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত এবং এর সর্বোচ্চ পাহাড়চূড়া শিলং চুড়া ৬,৪৪৯ (১,৯৯৬ মিটার) ফিট। শিলং ভারতের ৩৩০ তম জনবহুল শহর। দুপুরের খাবারের পর শহরে নিজেদের মত করে ঘোরাঘুরি।
দিন-২ (২২ সেপ্টেম্বর,২০১৮)
সকালের নাস্তা করে আমরা, আমাদের নিজস্ব যানে শিলং সাইটসিয়িং। শিলংয়ে আমরা যে পয়েন্টগুলো দেখব তা হলো- শিলং পিক, এলিফ্যান্ট ফল্স, ওমিয়াম লেক, গলফ্ কোর্স, লেডি হায়দারী পার্ক, চিড়িয়াখানা, ক্যাথলিক চার্চ, ওয়ার্ডস লেক, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি। সাইটসিয়িং এর মাঝেই হোটেল এ এসে দুপুরের খাবার খেয়ে পুনরায় সাইটসিয়িং করব। শিলং হোটেলে রাত্রিযাপন।
দিন-৩ (২৩ সেপ্টেম্বর,২০১৮)
সকালের নাস্তা করে আমরা চেরাপুঞ্জিতে সারাদিন, চেরাপুঞ্জি মেঘালয় প্রদেশের পুর্ব খাসি পাহাড়ী জেলার একটি উপজেলা। একে বিশ্বের সবচেয়ে বৃষ্টিবহুল জায়গা হিসেবে গন্য করা হয়, কিন্তু এর নিকটবর্তী মাওসিনরাম অঞ্চলও একই রেকর্ড করেছে। বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ডও দখল করে আছে চেরাপুঞ্জী। চেরাপুঞ্জী হলো হিমা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী রাজধানী যাকে সোহরা অথবা চুররা বলা হয়। শিলংয়ে ফিরে আসা এবং সন্ধ্যায় শহরে নিজেদের মত ঘোরাঘুরি, হোটেলে রত্রিযাপন।
দিন-৪(২৪ সেপ্টেম্বর,২০১৮)
সকালের নাস্তা করে আমরা মাওলিনং (এশিয়ার সবচেয়ে পরিস্কার গ্রাম) গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা। মাওলিনং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য পরিচিতি। বাঁশের তৈরি ডাস্টবিনে ময়লা সংগ্রহ করা হয়। ভারত ২০০৩ সালে এশিয়ার পরিষ্কারতম গ্রাম হিসেবে, এটিকে ঘোষণা করে। এটি ভ্রমণ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। মওলিননাং গ্রামে দুপুরের খাবার খেয়ে ডাওকি দিয়ে সীমান্ত পার হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিব।
প্যাকেজ মুল্যঃ ১৪,৪৪৪ টাকা (জনপ্রতি)
(ভিসা ফি এবং ট্রাভেল ট্যাক্স নিজ নিজ)
বুকিং এর শেষ সময় : ১২সেপ্টেম্বর,২০১৮
বুকিং মানিঃ ৮০০০ টাকা,জন প্রতি।
প্যাকেজের অন্তর্ভূক্তঃ
১. ঢাকা- সিলেট -ঢাকা এসি বাস
২. সিলেট–তামাবিল-সিলেট মাইক্র
৩. শিলং সাইট সিং (টাটা সুমো)
৪. ৩ ষ্টার সমমানের হোটেল
৫. প্রতি বেলার খাবার।
বুকিং মানি জমা দেওয়ার পদ্ধতিঃ
১. সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।
২. বিকাশ করা যাবে
৩. সরাসরি ব্যাংক ডিপোজিট করে বুকিং করা যাবে।
বুকিং এর জন্য কল করন : ০১৭৮১৭৭০০৩৩, ০১৭৮১৭৭০০৪৪, ০২৯৮৫২৫১৩